
আমেরিকা বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের দশকপূর্তি উৎসব ও অভিষেক (ভিডিও)
বাংলাদেশ এগিয়ে চলার সমর্থনে আমেরিকায় প্রবাসীদের জনমত আরো সুসংহত করার পাশাপাশি বিনিয়োগে আগ্রহীদের আরো উৎসাহিত করতে বাংলা ভাষার মার্কিন গণমাধ্যমগুলো একযোগে কাজ করবে; আর এর মধ্যদিয়েই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ফেরা বাংলাদেশ তার অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে সক্ষম হবে-এমন সংকল্প ব্যক্ত করা হয় যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি আমেরিকান সাংবাদিকদের সংগঠন ‘আমেরিকা বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের (এবিপিসি) এক দশকপূর্তি উৎসব এবং নতুন কমিটির (২০১৯-২০) অভিষেক থেকে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতে নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসে বেলজিনো পার্টি হলে আয়োজিত এ উৎসবে সাংবাদিক ছাড়াও কবি, সাহিত্যিক, লেখক, সমাজকর্মী, রাজনীতিকদের বিপুল সমাগম ঘটে। একপর্যায়ে অনুষ্ঠানটি পরিণত হয় বাংলাদেশিদের মিলনমেলায়। উৎসবটি নিবেদিত হয় যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য এবং সিটি কাউন্সিলে নির্বাচিত বাংলাদেশি আমেরিকান রাজনীতিকদের প্রতি।
মূলধারায় বিশেষ স্থানে অধিষ্ঠিত এসব জনপ্রতিনিধিগণকে প্রেসক্লাবের সম্মাননা ক্রেস্ট হস্তান্তর করেন নিউইয়র্কে বসবাসরত ২৪ জন মুক্তিযোদ্ধা। একইসঙ্গে মানবতার কল্যাণে নিবেদিত পাঁচজন প্রবাসীকে। এসব ক্রেস্ট হস্তান্তর করেন নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা, নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটর জন সি. ল্যু, স্টেট অ্যাসেম্বলিওমান ক্যাটালিনা ক্রুজ, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূতের প্রতিনিধি স্থায়ী মিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি (প্রেস) নূরএলাহি মিনা, কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং-এর প্রতিনিধি জর্ডান গোল্ডেস। অনুষ্ঠানে কমিউনিটিকে যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারায় উজ্জীবিত রাখতে নিরলসভাবে কর্মরত আমেরিকা বাংলাদেশ প্রেসক্লাবকে বিশেষ কংগ্রেসনাল এবং জর্জিয়া স্টেটের প্রক্লেমেশন প্রদান করা হয়।
বাংলাদেশ ও আমেরিকার জাতীয় সঙ্গীতের পর সকলে একমিনিট দাঁড়িয়ে মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদ, জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আত্মোৎসর্গকারিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপরই স্বাগত বক্তব্য দেন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক ইত্তেফাকের বিশেষ প্রতিনিধি শহীদুল ইসলাম। এরপর শুরু হয় ‘নৃত্যাঞ্জলি ড্যান্স গ্রুপের নৃত্যনাট্য। বাংলাদেশের ষড়ঋতুভিত্তিক এ অনুষ্ঠান সকলে মন্ত্রমুগ্ধের মত উপভোগ করেন।
পরবর্তী পর্বে ক্লাবের নতুন কমিটির কর্মকর্তাদের পরিচয় করিয়ে দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ আহম্মেদ। এ সময় নির্বাচন কমিশনের দুই সদস্য মিশুক সেলিম এবং জাহেদ শরিফ উপস্থিত ছিলেন। অভিষিক্ত কর্মকর্তারা হলেন সভাপতি-লাবলু আনসার, সিনিয়র-সহ-সভাপতি মীর ই শিবলী, সহ-সভাপতি আকবর হায়দার কিরণ, সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক রিজু মোহাম্মদ, কোষাধ্যক্ষ মো. আবুল কাশেম, সাংগঠনিক সম্পাদক কানু দত্ত, প্রচার সম্পাদক শাহ মোহাম্মদ ফারুক রহমান, নির্বাহী সদস্য শিব্বীর আহমেদ, আজিমউদ্দিন অভি, ফারহানা চৌধুরী ও তপন চৌধুরী। দশকপূর্তি উপলক্ষে প্রকাশিত স্মরণিকা ‘অবিচল’র মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিরা। এরপরই প্রেসক্লাবের ওয়েবসাইটের উদ্বোধন করা হয় বিপুল করতালির মধ্যে।
দ্বিতীয় পর্বে প্রেসক্লাবের সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয় বিশিষ্ট সমাজকর্মী ও শিল্পপতি জহিরুল ইসলাম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও মূলধারার রাজনীতিক আক্তার হোসেন বাদল, আর্ত মানবতার সেবায় নিয়োজিত ‘আব্দুল কাদের মিয়া ফাউন্ডেশন’র প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও আলহাজ্ব কাদের মিয়া, কমিউনিটি উন্নয়নে নিবেদিত পিপল এন টেক’র সিইও ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ এবং যুক্তরাষ্ট্র সফররত জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিনকে। এরপর প্রেসক্লাবের সেরা সদস্য হিসেবে বিশেষ সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয় চ্যানেল আই উত্তর আমেরিকার সিইও মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ আহম্মেদকে। দশকপূর্তি উৎসব আয়োজনে বিশেষ সহায়তার জন্যে সম্মানা ক্রেস্ট প্রদান করা হয় ফটো সাংবাদিক শাহ জে. চৌধুরীকে।
বাংলাদেশী আমেরিকানদের মধ্য থেকে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ক্লাবের বিশেষ সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয় জর্জিয়া অঙ্গরাজ্য সিনেটর শেখ রহমান, নিউ হ্যাম্পশায়ার স্টেট রিপ্রেজেনটেটিভ আবুল খান, হাডসন সিটির কাউন্সিলম্যান শেরশাহ মিজান, পেনসিলভেনিয়া স্টেটের মিলবোর্ন বরোর ভাইস প্রেসিডেন্ট নূরল হাসান, কাউন্সিলম্যান মুনসুর আলী, আপারডারবি সিটি কাউন্সিলম্যান শেখ সিদ্দিক। এসব ক্রেস্ট বিপুল করতালির মধ্যে হস্তান্তর করেন বাংলাদেশের একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধারা। তারা হলেন কণ্ঠযোদ্ধা শহীদ হাসান, মেজর (অব.) মঞ্জুর আহমেদ বীর প্রতিক, গোলাম মোস্তফা খান মিনাজ, রেজাউল বাবী, আবুল বাশার চুন্নু, নূরল ইসলাম, মিজানুর রহমান চৌধুরী, মোজাম্মেল হক, রুহুল আমিন, আব্দুস সাদিক, সানাউল্লাহ, ফিরোজুল ইসলাম পাটোয়ারী, কামরুজ্জামান, খোরশেদ আনোয়ার বাবলু, শহিদুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক, মলিন নাথ, দেবেন্দ্র চন্দ্র দাস এবং এমদাদুল হক।
প্রবাসে এই প্রথম মূলধারায় বাংলাদেশী-আমেরিকানদের সম্মাননা জানানো হলো মুক্তিযোদ্ধাদের মাধ্যমে-এজন্যে উপস্থিত সকলেই প্রেসক্লাবের প্রশংসা করেন। এবং সকলে দাঁড়িয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানান।
আলোচনা পর্বে সূচনা বক্তব্য দেন প্রেসক্লাবের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার। উপস্থিত সকলের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানিয়ে লাবলু বলেন, ‘২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই ক্লাবের কর্মকা- সবসময়ই আবর্তিত হয়েছে সর্বস্তরের প্রবাসীদের সঙ্গেনিয়ে। একইসঙ্গে বাংলাদেশকে বহুজাতিক এই সমাজে আরো বলিষ্ঠভাবে উপস্থাপনেও সক্রিয় রয়েছেন ক্লাবের সদস্যরা। সামনের দিনেও সে চেতনায় অব্যাহত থাকবে নতুন কমিটির দায়িত্ব পালনের প্রতিটি পর্বে।’
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কন্সাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা তার বক্তব্যে বাংলাদেশের এগিয়ে চলার ঘটনাবলি অত্যন্ত নিষ্টার সাথে নিজ নিজ গণমাধ্যমে প্রকাশ ও প্রচারে এই ক্লাবের সকল সদস্যের ভ’মিকার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বাঙালিকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন। সেই স্বপ্নের পথে হেঁটেই মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়েছে এবং দেশ ও প্রবাসে সকলে আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সুখ ও সমৃদ্ধশালি বাংলাদেশ রচনায় ঐক্যবদ্ধ।’
ঢাকা থেকে আসা জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া আজ বহুমুখী চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। এমনি অবস্থার মধ্যেও নিউইয়র্কসহ আমেরিকায় কর্মরত সাংাদিকরা বাংলাদেশের ইতিবাচক ইমেজ উপস্থাপনে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছেন। আশা করছি সকল প্রবাসীকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে উদ্বুদ্ধ করতে তাদের লেখনি আরো সোচ্চার থাকবে। একইসাথে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের ইমেজকে আরো মহিমান্বিত করতেও এই ক্লাবের সদস্যরা সচেষ্ট থাকবেন।’
প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ড. নীনা আহমেদ বলেছেন, ‘দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার মধ্য দিয়ে একটি সমাজকে সঠিকভাবে এগিয়ে নেয়া সম্ভব। সে কাজটি করছেন এই প্রেসক্লাবের সদস্যরা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেস ফ্রিডমের সুযোগ নিয়ে তারা বাংলাদেশী আমেরিকানদের মূলধারায় সম্পৃক্ত হতে আরো উৎসাহ জুগাবেন বলে আশা করছি।’স্টেট সিনেটর জন ল্যু বলেন, ‘নতুন অভিবাসী হিসেবে বাংলাদেশীরা সর্বত্র প্রশংসিত হচ্ছেন। আর এই ধারাকে আরো বেগবান করতে গণমাধ্যমগুলোর ভ’মিকা অপরিসীম।’
স্টেট সিনেটর শেখ রহমান বলেন, ‘প্রেসক্লাবের সদস্যগণের ভ’মিকা যত স্বচ্ছ্ব হবে ততোই লাভবান হবে কমিউনিটি। বহুজাতিক এ সমাজে নিজেদর অধিকার সুসংহত করার ক্ষেত্রেও গণমাধ্যমের ভূমিকার বিকল্প নেই।’স্টেট এ্যাসেম্বলীওম্যান ক্যাটালিনা ক্রুজ বলেন, ‘বাংলাদেশীরা আমার খুব কাছের মানুষ। তাদের সমর্থনেই আমি গত নির্বাচনে বিরাট বিজয় পেয়েছি। বাংলাদেশী গণমাধ্যমগুলোও অকুন্ঠ সমর্থন দিয়ে প্রকারান্তরে অভিবাসী সমাজকেই এগিয়ে নেয়ার পথ সুগম করেছেন।’
ডেমক্র্যাটিক পার্টির কুইন্স ডিস্ট্রিক্ট লিডার এটর্নী মঈন চৌধুরী বলেছেন, ‘কমিউনিটিকে এগিয়ে নেয়ার মধ্য দিয়ে আমেরিকান স্বপ্ন পূরণের ক্ষেত্রে বাংলা ভাষার গণমাধ্যমগুলোর ভ’মিকা অপরিসীম। তারা নিষ্টার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। এজন্যে আমি নতুন কমিটিসহ সকলকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।’
খ্যাতনামা সমাজকর্মী ও শিল্পপতি মো. জহিরুল ইসলাম বলেছেন, ‘নতুন সমাজে অভিষিক্ত হওয়া থেকে এগিয়ে চলার প্রতিটি ক্ষেত্রেই বাংলা ভাষার গণমাধ্যমগুলো বিশ্বস্ত অভিভাবকের ভ’মিকায় রয়েছে। বিশেষ করে এই প্রেসক্লাবের প্রায় প্রতিটি সদস্য-সাংবাদিকই সকল প্রবাসীর প্রিয়পাত্রে পরিণত হয়েছেন ঐ একইকারণে।’ ‘বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে, তাই প্রবাসীরাও যাদে নির্ভয়ে নিজ এলাকায় বিনিয়োগে এগিয়ে যান-সেই গণজাগরণ সৃষ্টি করতে হবে সংবাদপত্রের মধ্য দিয়ে’-উদাত্ত আহবান এই শিল্পপতির।
কমিউনিটি লিডার ও মূলধারার ব্যবসায়ী আকতার হোসেন বাদল ক্লাবের সর্বস্তরের সদস্য-কর্মকর্তাদেরকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘সাদাকে সাদা বলার ক্ষেত্রে এই দেশে কোন সমস্যা নেই। তাই গণমাধ্যমের কাছে সকলেরই প্রত্যাশা অনেক বেশী। ইতিমধ্যেই এই ক্লাবের সদস্যরা বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার মাধ্যমে কমিউনিটির আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন। সামনে দিনে তারা আরো দায়িত্ববান ভ’মিকায় অবতীর্ণ হবেন বলে আশা করছি।’
মূলধারার শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা এবং ‘এলায়েন্স অব সাউথ এশিয়ান-অমেরিকান লেবার’র জাতীয় প্রেসিডেন্ট মাফ মিসবাহ উদ্দিন বলেছেন, ‘কমিউনিটির বয়স অনেক হয়েছে। কমিউনিটিভিত্তিক জনসংখ্যাও বেড়েছে। তাই এখন সময় হচ্ছে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হবার। প্রতিটি সিটি, স্টেট এবং জাতীয় পর্যায়ের নির্বাচনে সকলকেই সোচ্চার হতে হবে। আমেরিকান স্বপ্ন পূরণের ক্ষেত্রে মূলধারায় আরোহনের বিকল্প নেই।’
শুভেচ্ছা বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেছেন, ‘বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে। সেই ধারায় সকলকে একিভূত রাখতে গণমাধ্যমের ভ’মিকার বিকল্প নেই। সে দায়িত্বটি পালন করছেন নিষ্ঠার সাথে এই ক্লাবের সকলে। আমি তাদেরকে অভিবাদন জানাচ্ছি।’
সমাজকর্মী ও ব্যবসায়ী এবং যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি আব্দুল কাদের মিয়া বলেছেন, পেশাদারিত্বে এই ক্লাবের সদস্যগণের খ্যাতি সর্বত্র। শুধু তাই নয়, নানা সংকট ও সমস্যায় তারা দিক-নির্দেশনাও দিচ্ছেন। কমিউনিটিকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে সাংবাদিকদের আরো সোচ্চার থাকা জরুরী।
‘পিপল এন টেক’র প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও তার শুভেচ্ছা বক্তব্যে প্রবাসে বাংলা ভাষার পত্রিকাগুলোর প্রশংসা করেন। আবু হানিপ বলেন, ‘প্রত্যেকটি সংবাদপত্রই কমিউনিটিকে দিক-নির্দেশনা দিচ্ছে। কোনটি ভাল সেটিও অবহিত করছে। কোথায় গেলে প্রত্যাশিত সার্ভিস পাওয়া যাবে-সেটিও নতুন অভিবাসীরা জানতে সক্ষম হচ্ছেন নিজ ভাষার গণমাধ্যমে।’
রাষ্ট্রদূতের প্রতিনিধি ও বাংলাদেশ মিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি ন্রূএলাহি মিনা বলেছেন, ‘বহুজাতিক এই সমাজে বাংলাদেশীদের অবস্থান আরো দৃঢ় করতে গণমাধ্যমসমূহ নিষ্ঠার সাথে কাজ করছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত বাংলাদেশকে আরো এগিয়ে নিতে সুদূর এই প্রবাসে গণমাধ্যমগুলো ইতিমধ্যেই অনেকটা স্বাক্ষর রেখেছে। যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে প্রবাসীদের উত্থানের পথিকৃত মোর্শেদ আলমও প্রেসক্লাবের সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়ে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন।
কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং-এর প্রতিনিধি জর্দান গল্ডেস ক্লাবের নতুন কমিটির সকলকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘অভিবাসী সমাজে বাংলাদেশীদের দিক-নির্দেশনা দিচ্ছে বাংলা ভাষার গণমাধ্যমগুলো। এই ধারা অব্যাহত থাকলে কেউই ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না বাংলাদেশীদেরকে।’ পুরো অনুষ্ঠানের উপস্থাপনায় ছিলেন প্রবাসের জনপ্রিয় উপস্থাপক ফাতেমা সাহাব রুমা।
শেষ পর্বে ছিল বাংলাদেশের খ্যাতনামা কন্ঠশিল্পী সৈয়দ আব্দুল হাদীকে ‘আজীবন সম্মাননা’ প্রদানের পর্ব। এটি উপস্থাপনা করেন ক্লাবের সদস্য শারমিন রেজা ইভা। প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে পাশে নিয়ে সম্মাননা ক্রেস্ট সৈয়দ আব্দুল হাদীকে প্রদান করেন প্রবাসে বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম পৃষ্টপোষক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। সৈয়দ আব্দুল হাদীর গানের মধ্য দিয়ে মধ্যরাতে এই উৎসবের সমাপ্ত ঘটার আগে সঙ্গীত পরিবেশন করেন কন্ঠযোদ্ধা শহীদ হাসান এবং বাউল শিল্পী শাহ মাহবুব।
দশকপূর্তির দৃষ্টিনন্দন এ অনুষ্ঠানে বিশিষ্টজনদের মধ্যে আরো ছিলেন কংগ্রেসওম্যান অলেক্সান্দ্রিয়া ওকাসিয়ো-করটেজের ডেপুটি ডিস্ট্রিক্ট ডিরেক্টর নওরীন আকতার, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ফজলুল হক, দেশী সিনিয়র সেন্টারের পরিচালক মিসবা আবদীন, ওয়েলকেয়ারের সিনিয়র ম্যানেজার সালেহ আহমেদ, ডেমক্র্যাটিক পার্টির তৃণমূলের সংগঠক মাজেদা এ উদ্দিন, ফখরুল আলম এবং ফাহাদ সোলায়মান, লেখক-কলামিস্ট ফকির ইলিয়াস এবং ফারহানা ইলিয়াস তুলি, ফোবানার চেয়ারম্যান মীর এইচ চৌধরী, নির্বাহী সচিব জাকারিয়া চৌধুরী, সদস্য-সচিব আবির আলমগীর, বিএনপি নেতা আলহাজ্ব মাহফুজুল মাওলা নান্নু, গোলাম ফারুক শাহীন, এম এ বাতিন, পারভেজ সাজ্জাদ, পারভেজ সাজ্জাদ, আলহাজ্ব আবু তাহের, কমিউনিটি লিডার কামাল আহমেদ, কাজী নয়ন, আব্দুর রব মিয়া, রহিম হাওলাদার, জেবিবিএর সভাপতি দিদারুল ইসলাম, পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হারুন ভ’ইয়া, সেক্রেটারি কামরুজ্জামান কামরুল, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য কামরুজ্জামান বাচ্চু, মোহাম্মদ হোসেন খান, আলী ইমাম, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাজী এনাম, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নূরল আমিন বাবু, আওয়ামী লীগ নেতা খোরশেদ খন্দকার, আশরাফুজ্জামান, মোর্শেদা জামান, সাখাওয়াত বিশ্বাস, জ্যামাইকা ফ্রেন্ডস সোসাইটির সেক্রেটারি ইফজাল চৌধুরী, কমিউনিটি বোর্ড মেম্বার শাহজাহান শেখ, মোহাম্মদ আলী, সিপিএ ইয়াকুব এ খান, নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের আতোয়ারুল আলম, রফিকুল ইসলাম, আবুল কাশেম, রকিবুজ্জামান তনু, আলীম খান আকাশ, শুভ রায়, রাসেল রহমান প্রমুখ।